মদন পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার শামীম উপজেলার ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তা অভিযোগ তোলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নিকট।
এরি প্রেক্ষিতে মদন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক টিপু ইসলাম সোহাগ রোববার রাতে দলীয় কার্যালয়ে এসে সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার শামীমকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং সে দলীয় কার্যালয়ে আসলে দেখে নেওয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই জেরধরে সোমবার সকালে ছাত্রলীগের আহবায়ক তার অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেয়। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্ততায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করে। উক্ত ঘটনায় সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উভয় পক্ষের লোকজন পৌর শহরের চৌরাস্তায় দেশীয় অস্ত্রের সজ্জিত হয়ে অবস্থান নেয়। স্হানীয় নেতৃবৃন্দ সহ পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইট পাটকেল নিক্ষেপ সহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মুহূর্তেই এলাকায় পরিণত হয় রণক্ষেত্রে, শহরে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ দিগবেদিগ ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। ঘন্টা ব্যপি চলা দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি সহ ১ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উক্ত ঘটনায় এস আই মজিবুর রহমান নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
মদন থানার ওসি তাওহীদুর রহমান গুলির ছোড়া বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ১ পুলিশ সদস্য আহত বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক