নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামের তাহের আলীর বাড়ি থেকে ইলিশ মাছ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গত বুধবার শরিয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার চরফিলিজ গ্রামের এনায়েত বেপারীর ছেলে রবিউল হাসান বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে চট্রগ্রামের বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গনমানপুরুরা গ্রামের মো. আব্দুল মোতালেবের ছেলে হাসান মিয়া (৩৫) ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। তারমধ্যে হাসান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আটককৃত হাসান মিয়া ও উদ্ধারকৃত ইলিশ মাছ বাকলিয়া থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেছে সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার চট্রগ্রামের বাকালিয়া সদরের ফিসারী ঘাট এলাকার বাবুল সওদাগরের গদিঘর থেকে ৬০ টি ককসিট বক্সে ৩ হাজার কেজি (৭৫ মন) ইলিশ মাছ একটি কার্ভাড ভ্যানে করে চালক হাসান মিয়া ও কার্ভাড ভ্যানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার ওবাইদুল সরদার মৎস আড়তে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু গাড়িটি সেখানে না গিয়ে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামের তাহের আলীর বাড়ির সামনে থামিয়ে ওই গাড়ী থেকে মাছগুলো নামিয়ে রাখেন চালক হাসান মিয়া ও তার লোকজন।
গত বুধবার ভোরে কলমাকান্দা থানার সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে মাছগুলো উদ্ধার করে। এসময় হাসান মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক এনামুল হক সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটককৃত হাসান মিয়া ও উদ্ধারকৃত ইলিশ মাছগুলো বাকলিয়া থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন খন্দকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডা.আখলাকুল হোসাইন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর সভাপতি আব্দুল হক সম্পাদক দিলীপ কুমার দত্ত