নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগে ১২ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ করেছেন ফিসারীর মালিক আলাল মিয়া। তিনি বলেন, ফিসারীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলেছে পূর্বে ঘোষণা দেওয়া চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দুয়া থানার পুলিশ, উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও ইউ.পি চেয়ারম্যান।
এছাড়া নেত্রকোনা যাওয়ার পথে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল ফিসারীটি দেখে অবগত হন। ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া পৌর সদর সংলগ্ন কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডুলী এলাকার মৎস্য ফিসারীতে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জানা জানি হলে মৃত মাছগুলো দেখতে এলাকার মানুষ ফিসারীতে ভীড় জমান। ফিসারী মালিক আলাল মিয়া আরও জানান, এখানে তার ৪টি পুকুরে মাছ চাষ করছিলেন। দুই একদিনের মধ্যেই মাছগুলো বিক্রি করা হতো। কিন্তু পূর্বশত্রæতার জের ধরে প্রায় দেড় মাস আগে কুন্ডুলী গ্রামের সোহেল মেম্বার, তার ভাই মস্তু মিয়া, মান্নান মিয়া গংরা পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। আমি তখন কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তারই জেরে আমার ফিসারীতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মঠোফোনে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহেল মেম্বার বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মাছের সাথে এমন কাজ কোন মানুষ করতে পারে না। কেউ যদি করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনা হোক। তাছাড়া গ্রামের একটি মারামারি মামলায় আমরা সকলেই বাড়ি ছাড়া। এ কাজ আমাদের কেউ করেনি। কেন্দুয়া থানার এসআই আলিমুর রেজা বলেন, আমি পরিদর্শন করে ওসি স্যারকে জানিয়েছি। এর বেশি বলতে পারবো না। কান্দিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বাবুল জানান, খবর পেয়ে ফিসারীতে এসে দেখেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কি কারণে এতগুলো মাছ মরে ভেসে উঠল তা তদন্ত করে দেখার দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আজাহারুল আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন পিপিএম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ভিজিট করেছি। মৎস্য অফিসারকে বলেছি, তারা পুকুরের পানি সংগ্রহ করেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ছাত্রলীগের ১২ ইউনিটের কমিটি ঘোষণা