Friday, March 24, 2023

জগন্নাথপুরে অসম্পূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ: অরক্ষিত বোরো ফসল

আকাশে মেঘ দেখলেই কৃষকের বুক কেঁপে উঠে

- Advertisement -

আকাশে মেঘ দেখলেই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কৃষকের বুক কেঁপে উঠে। গত ২দিন আগে ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। হাওরের অনেক স্থানে বাঁধ নির্মান করার প্রয়োজন থাকলে ও করা হয়নি বাঁধ নির্মান আবার অনেক ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মান করা হয়েছে বালু মাটি দিয়ে। কৃষক বলছে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে বালু মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মান করায় উপজেলার সবকয়টি হাওরের বোরো ফসল অরক্ষিত রয়েছে। হাওরে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ এখনও শথভাগ শেষ হয়নি।

- Advertisement -

বাঁধের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে অজানা আতংক দেখা দিয়েছে। কৃষকের অভিযোগ উপজেলা পাউবোর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে অতীতেও অকাল বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়। উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের জীবন- জীবিকার একমাত্র অবলম্বন বোরো ধান। অভিযোগ উঠেছে, পাউবোর অসাধু দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে অনেক স্থানে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মানের প্রয়োজন না থাকলে ও বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। আবার যে স্থানে বাঁধ নির্মানের প্রয়োজন সেখানে বাঁধ নির্মান না করায় লাভবান হচ্ছে অসাধু কর্তাব্যক্তি আর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা অবৈধ সুবিধা গ্রহন করার কারনে বাঁধের কাজের সময়সীমা বাড়িয়েও ফসল রক্ষা বাঁধ সম্পন্ন হয়নি এখনও।

জানা যায়, ২৮ ফেব্রæয়ারী হাওরের বাঁধ নির্মাণ কাজের সময়সীমা শেষ হয় অথচ ৭ ই মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েও হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি পাউবো। এই ছাড়া নলুওয়ার হাওরের ১৩ নং পি আইসির মধ্যবর্তী স্থানে জগন্নাথপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার উদাসীনতার কারনে কাজের আর্দেশ না থাকায় হয়নি ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত কাজ এ কারণে কৃষকের বোরো ফসল বর্তমানে অরক্ষিত রয়ে গেছে। পাউবো হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ৯০ভাগ সম্পন্ন হয়েছে দাবী করলেও জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের দাবী ৭৫ভাগ কাজও হয়নি এখন পর্যন্ত। পাহাড়ী ঢল ও অকাল বন্যার হাত থেকে হাওরের বোর ফসল রক্ষা করতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু দুর্নীতির কারণে সঠিক সময় বাঁধের কাজ শেষ না হয়ায় পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের কষ্টের ফসল।

- Advertisement -

জগন্নাথপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলায় ২০ হাজার ৩শত ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। সঠিক ভাবে ফসল ঘরে উঠলে আবাদকৃত জমিতে প্রায় ৮৪ হাজার ৫শত ৪৭ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানায়, হাওরের বেশীর ভাগ ফসল রক্ষা বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বালু মাটি দিয়ে যার কারনে বাঁধগুলো হয়েছে দুর্বল ও নি¤œমানের। সামান্য বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙ্গে যাবে। এতে করে হাওর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নলুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক অজিদ বলেন, আকাশে মেঘ দেখলেই বুক কেঁপে উঠে। বৃষ্টিপাত হলে নি¤œমানের দুর্বল হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাবে এই ভয়ে বুক কেঁপে উঠে। উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব উপ- সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী জানান, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ৯০ভাগের অধিক হয়েছে। যতটুকু অসমাপ্ত কাজ বাকি রয়েছে তা দ্রæত গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে ২৫ কেজি গাঁজা ও ৫৭৫ পিস ইয়াবাসহ চারজন মাদক কারবারী আটক

- Advertisement -
সম্পর্কিত সংবাদ
- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ