স্মার্ট ফোন , টাকা,ও ব্লুটুথ রেখে পালিয়েছে বিকাশ প্রতারক চক্রের এক সদস্য।
বুধবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিকাশ প্রতারক চক্রের ১ সদস্যকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় উপজেলার হাসাইল বাজারের ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই আসামী পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া প্রতারক কিশোরগঞ্জের জেলার আশিক মিয়া (২৩) বলে জানাগেছে।
হাসাইল বাজারের বিকাশের দোকানদার জালাল শেখ জানান, আজ বিকালে আমার দোকানের সামনে থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করি । তিনি আরো বলেন, কাস্টমাররা আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় আমরা আমাদের ব্যবসায়ীক খাতায় ওই নাম্বার গুলো লিখে রাখি। লিখিত নাম্বারগুলো ছবি তুলে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দিতো আটককৃত প্রতারক সদস্য। পরে খাতার নাম্বার দেখে দেখে কাস্টমারদের নাম্বারে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করতো।
বিকাশের কাস্টমার সোহেল হালদার বলেন ,আজ (বুধবার) সকালে হাসাইল বাজারের বিকাশের দোকানদার জালালের দোকান থেকে আমি ২০০০ টাকা আমার নাম্বারেই বিকাশে করি। আজকে বিকেলে বিকাশের দোকানদার পরিচয় দিয়ে একজন লোক আমার নাম্বারে ফোন দিয়ে ২০০০ টাকা সেন্ট মানি করেছে সেই টাকা ব্যাক পাঠাতে বলে। আমি তার কথা শুনেই বুজতি পারি উনি একজন প্রতারক হবে। পরে যে দোকান থেকে সকালে বিকাশ করেছি ওই দোকানে গিয়ে দেখতে পাই আমাকে ফোন করা ব্যক্তিকে দোকানদাররা আটকে রেখেছে। ওই প্রতারক ব্যক্তির কাছে থাকা নগদ ৩০০০ টাকা, একটি স্মার্ট ফোন ও একটি ব্লুটুথ জব্দ করে আমাদের চেয়ারম্যানকে ফোন দেই। পরে চেয়ারম্যান প্রতারক ব্যক্তিকে থানায় সোপার্দের পরামর্শ দেন। চেয়ারম্যান এর পরামর্শ অনুযায়ী প্রতারক ব্যক্তিকে একটি অটোরিক্সায় করে থানায় নিয়ে যেতে থাকি আমি,নিজাম মেলকার ও এবাদুল গাইন । উপজেলার কাইচমলদা এলাকায় পৌছলে গাড়ি হতে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় ওই প্রতারক আশিক মিয়া।
হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান বলেন, বাজারের দোকানদাররা একজন বিকাশের প্রতারককে আটকিয়ে আমাকে ফোন দেয়। আমি চিকিৎসার জন্য মুন্সীগঞ্জ থাকায় ওই প্রতারক কে থানায় সোপার্দ করতে বলি। প্রতারক পালিয়ে গেছে এটা আপনার মাধ্যমেই জানলাম।
টঙ্গীবাড়ী থানার এস,আই শরীফ জানান, আমাদের কাছে খবর আসে এক প্রতারক চক্রের সদস্য স্থানীয় এলাকাবাসী আটক করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই প্রতারক ব্যক্তি পালিয়ে যায়। যারা আটক করেছিলো তারা আমার নিকট ৩০০০ টাকা, একটি স্মার্ট ফোন ও একটি ব্লুটুথ দিয়ে বলে সেগুলো প্রতারকের। আমি সেগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি রাজিব খান বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগেই যে ব্যক্তিরা আটক করেছিল তাদের কাছ থেকে ওই প্রতারক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আটপাড়ায় গোপালাশ্রম ভৈরব চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত