নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণকারী প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সেবা হতে বঞ্চিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত লোকজন নিরুপায় হয়ে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিকে উচ্চ খরচে সেবা নিতে বাধ্য হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: শরীফ আহমেদ পিআরএল এ গমন করেন। তদস্থলে কোন কর্মকর্তা না আসায় পদটি এখন পর্যন্ত খালি রয়েছে। তবে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন কনসালটেন্ট ডাক্তার অপূর্ব কাঞ্চন মজুমদার। উপজেলার একমাত্র হাসপাতালটিতে ডাক্তার পদ রয়েছে ২৮টি তবে এখন পর্যন্ত কর্মরত আছেন ১১ জন। বিভিন্ন বিষয়ের ডাক্তার না থাকার ফলে হাসপাতালে আগত রোগীদের সেবা গ্রহণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা না থাকার ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিঘœ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের জন্য সরকার ৩১ শর্য্যা থেকে ৫০ শর্য্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডাক্তার সংকটের কারণে আটপাড়া উপজেলার একমাত্র হাসপাতালটি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সেবা গ্রহণকারী আগত জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা চিকিৎসার অভাবে অতি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে এবং গ্রামাঞ্চলের হত দরিদ্র মানুষ হওয়ায় টাকার অভাবে অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে পারছে না। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের প্রাণের দাবী এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদে ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হউক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা (দায়িত্ব প্রাপ্ত) কনসালটেন্ট ডাক্তার অপূর্ব কাঞ্চন মজুমদার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাক্তার মো: শরীফ আহমেদ স্যার পিআরএল এ চলে যাওয়ায় ১৬ জানুয়ারি থেকে আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে অনুপ্রবেশকারী এক ভারতীয় নাগরিক আটক