Thursday, March 30, 2023

দুর্গাপুরে জেল থেকে বেরিয়ে ফের মাদক ব্যবসায় মেনকিফান্দার আবুল কালাম!

কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:

- Advertisement -

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জেলহাজতে কারাবরণ করে জামিনে বের হয়ে এসে ফের মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে আবুল কালাম। ওই পরিবারের মাদক ছোবলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম(৪১) উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকিফান্দা গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে। সর্বশেষ চলতি মাসের গত ৬ জানুয়ারি ভারতীয় মদের বোতল সহ গ্রেপ্তার হন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে মাদক কারবারি শুরু করেন মাদক সম্্রাট আবুল কালাম।

- Advertisement -

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার মেনকিফান্দা গ্রামের বাসিন্দা মাদক সম্রাট আবুল কালাম(৪১) দীর্ঘদিন থেকে তাঁর নিজ বসত বাড়িতে ইয়াবা,গাঁজা ও মদ বিক্রি করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিও প্রদান করা হয়।

প্রায় ২০ বছর ধরে অবাধে এ মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান। পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার আটক হয়েছেন। জেল কেটেছেন। জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারো মাদক কারবারি করছেন। ভারতীয় চোরাই কাঠ,হরিণের মাংস বিক্রি করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মাদকের ছোবল থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে তাঁর ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। মাদক ব্যবসা যেন নেশাতে পরিণত হয়েছে। আবুল কালামের অবৈধ উপায়ে মেনকীফান্দা একটি রোডকে ব্যবহার করে ভারতীয় মদ আমদানী করে থাকে। তাঁর মদের চালান আনতে গিয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী মো.শাহান মিয়া(৩৬)কে গেল বছরের ২৯ আগস্ট সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ১১৬৩ নং সীমান্ত পিলারে ভারতের অভ্যন্তর থেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। শাহান মিয়া ওই দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকীফান্দা গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। নিখোঁজের স্ত্রী রেখা আক্তার সহ চার সন্তান নিয়ে ৫মাস ধরে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন বলে ভুক্তভোগীর বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

- Advertisement -

মাদক সম্রাট আবুল কালাম ১২ বোতল ভারতীয় মদ সহ গত বছরের ২২ মে ২৫বি এর ১(বি) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। ওই বছরের আগষ্ট মাসে আবারো ভারতীয় মদ সহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর আদালতের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো এলাকায় অবাধে মাদক চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই কালামের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় প্রথম মাদকের মামলা রুজু হয় ২০১৬ সালে। এখন পর্যন্ত ৪টি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ৩টি মামলার চার্জশীট সম্পন্ন হয়েছে।
মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত আবুল কালাম ওই প্রতিবেদককে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। আমি মাঝে মধ্যে কাঠের ব্যবসা করে থাকি।

উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদকের ছড়াছড়ি নিয়ে আলোচনা হয় এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রণের সুপারিশ করেণ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম।

- Advertisement -

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, আবুল কালাম মাদক সহ বেশ কয়েকবার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। মাদকের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সে পুলিশি নজরদাড়িতে রয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় বিএনপি নেতার কম্বল বিতরণ

- Advertisement -
সম্পর্কিত সংবাদ
- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ

spot_img