নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা আর স্মৃতিচারণে উঠে এলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোর কথা। এসময় বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন আলোচকরা।
৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবসে আওয়াল স্মৃতি সংঘের আয়োজনে কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি যাদুঘর হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক বলরাম বিশ্বাস। এতে আলোচনা করেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হামিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান,বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন সরকার,বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক,শিক্ষক এ.কে.এম ইয়াহিয়া,কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল টিপু,অধ্যাপক আব্দুর রাশিদ,উন্নয়নকর্মী রূপক সরকার,সাংবাদিক ওয়ালী
হাসান তালুকদার কলি, প্রভাষক জনপদ চৌধুরী,বিদ্যুৎ সাহা,এডভোকেট মামুন আকন্দ,শহীদ আওয়াল স্মৃতি
সংঘের সভাপতি শেখ হোযাইফা হীরা।
আলোচকরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে দুর্গাপুরকে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করে বাংলার দামাল ছেলেরা। এই দিনটির মাহাত্ম্য অনেক। আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই বীর শহীদদের প্রতি। তাদের আত্মত্যাগের ফলেই একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি আমরা।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে সঠিকভাবে জানতে হবে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর,সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়া আরো বেশি ত্বরান্বিত হবে।
এই সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের স্মৃতিচারণ করে বলেন,৬ ডিসেম্বর আমরা অত্যন্ত উল্লাসের সাথে পাকহানাদার বাহিনীকে তাদের বিরিশিরি ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করি। সেদিন আমরা বিরিশিরি বধ্যভূমিতে গিয়ে অসংখ্য মানুষের লাশ দেখি। সেদিন শহীদদের স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়েছিলো দুর্গাপুরের আকাশ বাতাস।
আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহীদ আওয়াল স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক পলাশ সাহা। অনুষ্ঠানে আওয়াল স্মৃতি সংঘের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন,দুর্গাপুর মুক্ত দিবস আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক বীরত্বগাঁথার কথা জানলাম। আমাদের সামাজিক জীবনে যেগুলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরও পড়ুন: কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি ?