সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের ছাড় হওয়া বরাদ্দের টাকার চেক প্রদানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী জাকির হোসেন ও জারীকারক বিপুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পিআইসিদের।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেক প্রদানের সময় পিআইসিদের কাছ থেকে টাকা রেখে চেক প্রদান করা হয়।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০ টা থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছাড় হওয়া বরাদ্দের টাকার চেক প্রদান করার সময় পিআইসিদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে রেখে চেক প্রদান করা হচ্ছে বলে পিআইসিদের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে প্রথম পর্যায়ে পিআইসিদের কাছ থেকে চেক প্রদানের সময় টাকা রাখার বিষয়ে সহকারী জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। তখন জাকির হোসেনকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এমন খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধর্মপাশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কর্যালয়ের জারীকারক বিপুল চন্দ্র দাস পিআইসিদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে রাখার পর অফিস সহকারী জাকির হোসেন চেক প্রদান করছেন।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্যালয়ের অফিস সহকারী জাকির হোসেন বলেন, যেসব পিআইসির সভাপতিরা খুশি হয়ে টাকা দিয়েছে তাদের কাছ থেকে টাকা রেখেছি।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় আ.লীগের সভাপতি ওসমান গনি আর নেই