শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে নেত্রকোনায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুর রহমান ভিপি লিটনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা বিএনপির আহবায়ক বিশিষ্ট অর্থোপেডিক চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম হিলালীর নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজলের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ, পৌর মেয়র আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পৌর পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান মানিকের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল আমিন ও সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকুর নেতৃত্বে রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সকল সরকারী, আধা সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সুর্যোদয়ের পর সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৮ নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়ামে শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১১টায় স্থানীয় পাবলিক হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ২টায় হাসপাতাল, কারাগার ও এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বেলা ৩টায় মোক্তারপাড়া মাঠে প্রবীনদের হাঁটা ও কালেক্টরেট স্কুল মাঠে মহিলাদের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৪ টায় মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা ও স্থানীয় পাবলিক হলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি