গত ১৬ ই অক্টোবর ২০২২ তারিখে অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা দৈনিক দুর্জয় বাংলা’ পত্রিকায় ধর্মপাশায় দলিল লেখক সমিতির হাতে জিম্মি ক্রেতা-বিক্রেতা’এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাদশগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুছ ছোবহান। সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে , ধর্মপাশা উপজেলায় বাদশাগঞ্জ সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দলিল লেখক সমিতির অনিয়ম, দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়েই চলেছে।
সমিতির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা। জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে লেখকের পারিশ্রমিক ছাড়া লাখে ৬ হাজার ৫০০ টাকা সরকারী ভাবে ফি নেয়ার কথা কিন্তু লাখে ১৩-১৪ হাজার টাকার কমে দলিল হয় না বাদশাগঞ্জ সাবরেজিষ্টী অফিসে। কাগজপত্রে সামান্যতম জটিলতা থাকলে নেয়া হয় আরও বাড়তি টাকা ।
এমন অভিযোগ করেছেন অসংখ্য ভুক্তভোগী জমি ক্রেতা-বিক্রেতা। জমি রেজিস্ট্রেশনে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ভাগবাটোয়ারা করেছেন সমিতির নেতা সদস্যরা। এর মধ্যে অফিস খরচ দিতে হয় লাখে দুই হাজার টাকা। যেসব লেখকের কপালে কোন দলিল জুটে না শ্রেনী অনুযায়ী তারাও পায় অতিরিক্ত টাকার ভাগ।
তিনি বলেন , দলিল লেখক সমিতির হাতে ক্রেতা – বিক্রেতা জিম্মি নয়। প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয় , উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় এ মিথ্যা সংবাদের অবতারণা করা হয়েছে শুধু আমাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য।
আব্দুছ ছোবহান
বাদশাগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিস ধর্মপাশা , সুনামগঞ্জ
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
