নেত্রকোনার বারহাট্টায় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) শামছুল ইসলাম নামের এক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার কবর স্থানান্তর করা হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর আগে নেত্রকোনা-বারহাট্টা-কলমাকান্দা সীমাস্ত সড়কের বারহাট্টা উপজেলার বাইশদার গ্রামের নিজ বাড়িতে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়।
কবর স্থানান্তর কালে প্রয়াতের মেয়ে কোহিনুরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ, গণমাধ্যমকর্মী ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, লতিবুর রহমান খান ও এলাকার সকলস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে কোহিনুর, নিলুফা, জাহানারা বলেন, সরকারী উন্নয়ন কাজের সুবিধার্থে আমাদেরকে বাবার কবর স্থানান্তরের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা আপত্তি করি নাই। কবরটি স্থানান্তর করে বসতবাড়িতে আনা হয়েছে। বাবা কবর এখন আমাদের চোখের সামনেই থাকবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, সরকারের উন্নয়নকাজের প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ হতে আমাদেরকে এই কবর স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সে মোতাবেক আমি উদ্যোগ নেই। এ ব্যাপারে প্রখ্যাত আলেম ও মুফতির ফতোয়াসহ পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী বলেন, নেত্রকোনা-বারহাট্টা-কলমাকান্দা সীমাস্ত সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কবরটির কারণে সড়কের উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন আটকে ছিল। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যবর্গের সাথে আলোচনা ও আলেমগণের সাথে পরামর্শত্রমে শরিয়তের নিয়মকানুন অনুসরন করে কবরটি স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার বেহেশত নছিব কামনা করি।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জের একজন সফল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুন্সী মকিদুজ্জামান মকিদ