Friday, March 31, 2023

লাল সবুজের পতাকায় স্বাধীনতার বার্তা ছড়াচ্ছে: গোপালপুর মডেল কলেজ

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

লাল সবুজের পতাকায় প্রতিদিন স্বাধীনতার বার্তা ছড়াচ্ছে কেন্দুয়া উপজেলার গোপালপুর মডেল কলেজ। এলাকার শতশত মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে সাইডুলি নদীর তীরে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন সমাজসেবক আব্দুল হামিদ ও তার ছেলে রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান। ২০০৬ সালে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয় কলেজটি। এর মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বলবত আছে।

- Advertisement -

গোপালপুর মডেল কলেজের কোড নং- ৮২৫৭ ও ঊওওঘ ঘঙ- ১১৩০৭৫। বলাইশিমুল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সমাজসেবক আব্দুল হামিদ এলাকার উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্য কলেজের নামে এক একর জমি রেজিস্ট্রিমূলে লিখে দেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কান্তি কর জানান, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন নূরুল আমিন। তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেয়ার পর ইমাম হোসেন কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত মাত্র ৩ জন শিক্ষক ও খন্ডকালিন শিক্ষক নিয়ে কলেজের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌরনীতি ও সুশান বিষয়ে আহমেদ শরিফ মামুন, ইসলামের ইতিহাস শাহনাজ পারভীন ও হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে তিনি নিজে বিয়োগ প্রাপ্ত আছেন। কলেজ এম.পি ও ভ‚ক্ত না থাকার কারণে অন্যান্য শিক্ষকরা অর্থনৈতিক সুবিদার কথা চিন্তা করে অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্টানে চলে যাচ্ছেন।

- Advertisement -

বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ চালু থাকলেও শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে এখন শুধু মানবিক বিষয়টি চালু আছে। রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসানের ব্যক্তিগত অর্থে কলেজের অবকাঠামো, আসবাবপত্র ও শিক্ষক কর্মচারিদের সম্মানি বেতনভাতা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কলেজটিতে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। পৌরনীতি ও সুশাসন বিভাগের শিক্ষক আহম্মেদ শরিফ মামুন জানান, আমরা কাজ করতে করতে এখন ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। সরকার আমাদের কলেজটির দিকে সদয় দৃষ্টি দিলে আমাদের শিক্ষক কর্মচারিদের মুখে যেমন হাসি ফুটবে তেমনি পিছিয়ে পড়া এলাকাটিতে উচ্চ শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে কলেজটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বলাইশিমুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সমাজ সেবক আবুল মনসুর চৌধুরী বুলবুল বলেন, এলাকার শত শত মানুষের প্রাণের দাবীর প্রেক্ষিতেই গোপালপুর মডেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে কলেজটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার বার্তা ছড়িয়ে দিলেও কলেজটি আজও এম.পিও ভ‚ক্ত হয়নি। ফলে শিক্ষক কর্মচারীরা যেমন কষ্টে আছেন, তেমনি শিক্ষার প্রসারেও কলেজটি এগুতে পারছেনা। তিনি এলাকার শিক্ষার উন্নয়নের কলেজটি এমপিও ভ‚ক্ত করার দাবি জানান। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার কর জানান, আমরা কষ্ট করে হলেও কলেজটিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য প্রান পন চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার সদয় দৃষ্টি দিলে কলেজটি এম.পিও সহ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।

- Advertisement -

কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান জানান, কলেজের নামে আমার বাবা ১ একর জমি লিখে দিয়েছেন, কিন্তু কলেজটি নিজের নামে করতে পারলেও তা করেননি। তার ইচ্ছাই ছিল এলাকায় উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটানো। তিনি বর্তমান সরকার ও নেত্রকোনা-৩ আসনের এম.পি অসীম কুমার উকিলের প্রতি কলেজটি এম.পিও ভ‚ক্তির দাবি জানান।

আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় বিএনপির পদযাত্রা পন্ড করে দিল পুলিশ

- Advertisement -
সম্পর্কিত সংবাদ
- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ

spot_img