Friday, March 24, 2023

শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায় সরকারি স্কুলে বসতঘর নির্মাণ

ফলো আপ

- Advertisement -

নেত্রকোণার আটপাড়ায় ৭২নং দুওজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: রেজাউল করিম বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণ করেছেন মর্মে নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

- Advertisement -

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ১২:৩০ মিনিটে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যায়টিতে শিক্ষকের পদ সংখ্যা ৫টি থাকলেও ৩ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। ১ জন শিক্ষক ছুটিতে এবং সহকারী শিক্ষক মো: মোশারফ হোসেন ছুটি ব্যতীত বাড়ির কাজে ব্যস্ত আছেন। বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৭ জন থাকলেও উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ জন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য ৩৩ শতাংশ ভূমি দলিল মূলে সরকারের নামে হস্তান্তর করতে হয়। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়ের ৩১ শতাংশ ভূমি বিদ্যমান থাকলেও বাকী ২ শতাংশ ভূমিতে প্রধান শিক্ষক নিজ ক্ষমতাবলে বসত বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। ফলে সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।

তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ একই বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের বাড়ির পাশে বিদ্যালয় থাকায় যখন-তখন স্কুলে আসা-যাওয়া করে থাকেন। তাছাড়া শিক্ষক নিজের শ্রেণি পাঠদানের কাজ ফেলে রেখে বাড়ির কাজে ব্যস্ত থাকেন। এতে অন্যান্য শিক্ষকগণের মাঝে এর প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ফলে শ্রেণি পাঠদানের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

- Advertisement -

অভিযোগে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ের ভূমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ প্রধান শিক্ষক কর্তন করে বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠানের স্থাপনের পর থেকে দীর্ঘদিন একই স্কুলে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন স্বেচ্ছারিতা ও অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছেন। বার বার অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাহার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা বা অন্যত্র বদলী করছেন না। তবে শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায় এলাকাবাসীর প্রশ্ন। গত ১২ ফেব্রুয়ারী দৈনিক যায়যায়দিন অনলাইন পোর্টালে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় পরদিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো: খায়রুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেলিমা আক্তার খাতুন এবং ইউ.পি সদস্য বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত বিশ্বাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি শিক্ষককে বিদ্যালয়ের জমির দলিল উত্তোলন করার জন্য বলেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেলিমা আক্তার খাতুন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাহমিনা খাতুন জানান আমি এখনও অভিযোগ পাইনি। তবে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

- Advertisement -

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: খায়রুল ইসলাম বলেন, দৈনিক যায়যায়দিন অনলাইন পোর্টালসহ অন্যান্য পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর আমি নিজে শিক্ষা অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি।

আরও পড়ুন: ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার্স কমিউনিটি এক্সকার্শন অনুষ্ঠিত

- Advertisement -
সম্পর্কিত সংবাদ
- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ