কথা বলতে গিয়ে তিনি বার বার কাঁদলেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কাঁদলেন আরো অনেকে। নিজ হাতে গড়া বারহাট্টা সরকারী কলেজ থেকে ঠিক এভাবেই রোববার বিকেলের দিকে সিক্ত চোখে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিলেন প্রিন্সিপাল পঙ্কজ মোহন সরকার। যবনিকা টানলেন তাঁর সুদীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের সফল কর্মজীবনের।
জানা যায়, ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় বারহাট্টা কলেজের পথ চলা। ১৯৮৭ ক্রিস্টাব্দে পঙ্কজ মোহন সরকার প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তবে, কলেজটির প্রতিষ্ঠায় শুরু থেকেই মুল দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তারপর থেকে না না প্রতিবন্ধকতা পাড় করে তিলে তিলে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তোলেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের অনিশ্চিত সেই প্রতিষ্ঠানটিই আজ বারহাট্টা সরকারী কলেজ।
জানা যায়, গত ৯ মার্চ, ২০২৩ তারিখ ছিল প্রিন্সিপাল পঙ্কজ মোহন সরকারের সক্রিয় কর্ম থেকে অবসর গ্রহণের শেষ দিন। রোববার তাঁকে কলেজের পক্ষ হতে বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। কলেজের মিলনায়তনে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন।
সহকারী অধ্যাপক মো. আনিছুল আলম তালুকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী, নেত্রকোণা সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মো. সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, বারহাট্টা সরকারী কলেজের আমিনুল ইসলাম খান রিজভী, মো. মজিবুল হক, প্রণব চন্দ্র সরকার, মোহাম্মদ আলী খান, আবুল বাশার, সত্যেন্দ্র পাল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, অফিস সহায়ক মোস্তাফিজুর রহমান খান, রমজান আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে প্রিন্সিপাল পঙ্কজ মোহন সরকারের কর্মকান্ডের ভ‚য়সি প্রশংসা করা হয়।
বিদায় অনুষ্ঠান শেষে উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল ওয়াদুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বারহাট্টায় বিনামূল্যে ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ