জন্ম নিয়ন্ত্রন রোধে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অথচ ওই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগেই ৪৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন শূন্য পরে আছে। ফলে ওই বিভাগের কর্মকান্ড গতি হারাচ্ছে। এছাড়া নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় একটি ক্লিনিকের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, কেন্দুয়া উপজেলায় পরিবার কল্যান সহকারি পদে ৭৪টি ইউনিট আছে। এতে ৫৩ জন দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা ১৫টি পদের মধ্যে ১০ আছেন। ফার্মাসিষ্ট ৪ টি পদের মধ্যে ১ জনও নেই। উপসহকারি মেডিকেল অফিসার ৪ জনের মধ্যে ২ জন আছেন, মেডিকেল অফিসার ২ জনের মধ্যে ২ জনেই নেই। সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ টি পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে।
এছাড়া আয়া পদে ১৫ জনের মধ্যে আছেন মাত্র জন। তিনি জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র আছে ৪টি। নামে মাত্র ৪টি কল্যান কেন্দ্র থাকলেও ২টিতে আবাসিক ভবন নেই। গড়াডোবা ও কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্রে আবাসিক ভবন না থাকায় সংশ্লিষ্টদের বসবাস করা খুব কষ্ট হয়। এছাড়া উপজেলার ৯টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা পদে পাইকুড়া, মোজাফরপুর, মাসকা, রোয়াইলবাড়ি ও কান্দিউড়া কোন লোক নেই। জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। নওপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র থাকায় সেখানে ডেলিভারি করানো হচ্ছে।
জরাজীর্ণ ক্লিনিক ভবনে কর্মকান্ড চলে আসায় অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংরক্ষনের ক্ষেত্রেও কষ্ট হচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরো জানান, জরাজীর্ণ ক্লিনিক ভবন থেকে উপজেলা সদরে অন্যত্র নিজস্ব অফিস নির্মানের দাবি জানিয়ে বার বার উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় সমস্যার চিত্র তুলে ধরলেও বাস্তবে কোন ফল উদয় হচ্ছে না। তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের শূন্য পদের সংখ্যা পূরণ সহ নিজস্ব ভবন নির্মানের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে নদীর তীরবর্তী দুটি ভাঙ্গা বেরী বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন: উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম